ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে বে-আইনিভাবে ৬টি ইউনিয়ন এবং একটি মহাবিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগ কার্যনির্বাহক সমিতি বিলুপ্ত করার প্রতিবাদে উপজেলা সভাপতি ও সম্পাদকের বিপক্ষে খোজ-খবর সম্মেলন করেছে ওই সংগঠনের নেতাকর্মীরা। রোববার বিকেলে ঈশ্বরগঞ্জ প্রেসক্লাবে বার্তা সম্মেলনে উপজেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি শেখ অলিউল্লাহ রাসেল ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আল-আমিন আকন্দ লিখিত বক্তব্যে জানান, পদ বাণিজ্যের লোভে সংগঠনের পলিসি উপেক্ষা করে ৬টি ইউনিয়ন এবং একটি কলেজ শাখার কমিটি বাতিল ঘোষনা করেছেন তারা। গত ৪ সেপ্টেম্বর অছাত্র, বিবাহিত, মামলার আসামী, ছাত্রদল নেতাদের নিয়ে ৩১ মেম্বার বিশিষ্ট সমিতি ঘোষনা করে ময়মনসিংহ জেলা ছাত্রলীগ।কিন্তু ঘোষিত আজ পর্যন্ত কার্যকরি কোন সমিতি না করে ১ ডিসেম্বর জেলা আওয়ামীলীগের সম্মেলনের দু’দিন পুর্বে মেম্বারদের অভিব্যাক্তি ছাড়াই ৬টি ইউনিয়ন ও একটি কলেজ শাখা কার্যনির্বাহক সমিতি বিলুপ্ত করে। কমিটিগুলো হচ্ছে, আঠারোবাড়ি, সরিষা, তারুন্দিয়া, জাটিয়া, উচাখিলা, মগটুলা ইউনিয়ন ও আঠারোবাড়ি কলেজ শাখা ।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, থানা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি শেখ অলিউল্লাহ রাসেল, অর্নব হোম চৌধুরী, আতিকুর রহমান আতিক, যুগ্ম- কমন এডিটর আল-আমিন আকন্দ, আল ইমরান গণী ভূইয়া হীরা, সাংগঠনিক সম্পাদক জিনেদিন জিদান। এছাড়া বিলুপ্ত সরিষা ইউনিয়ন কমিটির সভাপতি আতিকুর রহমান আতিক, মগটুলা ইউনিয়ন সভাপতি ইফতেখার আলম শামীম, তারুন্দিয়া ইউনিয়ন সভাপতি ছাইফুল ইসলাম, উচাখিলা ইউনিয়ন সভাপতি মাহাবুবুর রহমান, কমন এডিটর রাজিব আহমেদ রাসেল, আঠারোবাড়ি ইউনিয়ন আহবায়ক রবিন মিয়া, যুগ্ম আহবায়ক লিমন মিয়া, জাটিয়া ইউনিয়ন কমন এডিটর আসাদুজ্জামান আসাদ, আঠারোবাড়ি ডিগ্রি মহাবিদ্যালয় শাখা কমন এডিটর আরমান প্রমুখ। উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি হাসান মাহমুদ ও সাধারণ সম্পাদক রানা আহমেদ তাদের বিপক্ষে আনীত অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমরা জেলা কমিটির অনুমতি নিয়ে বৈধভাবেই পরিচালক সভা বিলুপ্ত করেছি। ইতোমধ্যে আমরা পরিচিতি ও বর্ধিত সভাও করেছি।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন