মামলা থেকে মুক্তির আবেদন নোরা ফাতেহির

 দুইশো কোটি টাকার ঘুষের মামলায় জড়িয়ে গেছে বলিউডি আইটেমগার্ল নোরা ফাতেহির নাম। এ বিষয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে নোরা প্রশ্ন করেন - জ্যাকলিন (বলিউড অভিনেত্রী জ্যাকলিন ফার্নান্দেজ) নিজে দুর্নীতিতে জড়িয়ে ক্যারিয়ার নষ্ট করছে। অথচ আমাকে এই নোংরামির মধ্যে জড়াচ্ছে কি জন্য ? জানা গেছে, দুইশো কোটি টাকার ঘুষের মামলায় সুকেশ শেখরের সঙ্গে নাম জড়িয়েছেন বলিউড অভিনেত্রী শ্রীলংকান নাগরিক জ্যাকলিন ফার্নান্দেজ। মামলাটিতে অন্তর্বতী জামিনে ছাড়া পেলেও গাঢ় প্রবল হাজিরা দেওয়ার জন্য হলো তাকে। এই ঘটনায় নোরা ফাতেহিও সম্পৃক্ত বলা হয় নালিশ জ্যাকলিনের। আর এইজন্য জ্যাকলিনের বিরুদ্ধে দিল্লির আদালতে মানহানির মামলা করেছেন নোরা।

মামলা থেকে মুক্তির আবেদন নোরা ফাতেহির

কলকাতার প্রভাবশালী এক গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে হয়েছে, দুইশো কোটি টাকা ঘুষের ঘটনায় অল্পসংখ্যক মাস প্রথমে জ্যাকলিনের সঙ্গে নোরাকেও জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য ডেকে পাঠায় এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। কনম্যান সুকেশ শশী শেখর মৌলিক সন্দেহভাজন হলেও তার সাথে যোগসাজশ থাকার কারণে এ দুই অভিনেত্রীকেই তলব করা হয়ে যায় বলে বলা হয়েছে। তবে এ ঘটনায় অধিক বেকায়দায় পড়েন জ্যাকলিন। কারণ, সুকেশের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক থাকায় বেশ কতিপয় অবৈধ প্রতিপত্তি উপহার হিসেবে পান জ্যাকলিন। আর এতে ফেঁসে গেছেন এ অভিনেত্রী।

সম্প্রতি মারফত প্রকাশ্যে আসে জ্যাকলিনের এক বয়ান। যেখানে উনি জানিয়েছেন, সুকেশের থেকে অনেক তারকাই বখশিশ নিয়েছেন। তাদের ভিতরে নোরা ফাতেহিও আছেন। কেবল একাই তাকে কিশের জন্য দোষারোপ করা হলো ? জ্যাকলিনের এ বক্তব্যে বিদ্বিষ্ট হয়ে জ্যাকলিনের বিপক্ষে মামলা করেছেন নোরা। তার দাবি, জ্যাকলিনের সম্পূর্ণ মিথ্যা। সুকেশের সঙ্গে তার কোনো আদান-প্রদান ছিল না। উপহারও নেননি। কোনো কারণ ছাড়া তাকে হেনস্তা করতে চাইছেন জ্যাকলিন। নোরা বলেন, জ্যাকলিন নিজে দুর্নীতিতে জড়িয়ে ক্যারিয়ার নষ্ট করছে। সেটি অবশ্য ওর কাছের মানুষের জন্যই করছে। দুজনেই একই ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করে। সেইম অতীত। যা করছে, সঠিক আছে। তবুও আমাকে এই নোংরামির ভিতরে জড়ানো হচ্ছে কিসের জন্য ? সেই সঙ্গে নিজেকে এই মামলা হতে মুক্ত করার অ্যাপ্লাই জানিয়েছেন এই অভিনেত্রী।

এদিকে এই ঘুষের মামলায় সোমবার সকালে দিল্লির পাতিয়ালা হাউস কোর্টে হাজিরা দিতে গিয়েছিলেন জ্যাকলিন। উকিল জানান, এখনো পর্যন্ত ইডির তরফে সম্পূর্ণ চার্জশিট জ্যাকলিনের হাতে এসে পৌঁছায়নি। বিচারপতি আগামী ২০ ডিসেম্বর পর্যন্ত এ মামলার পরের শুনানির দিন ধার্য করেছেন।

Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন