আধুনিক বাজারে আলু চমৎকার দামে বিক্রি করে লাভবান হচ্ছেন কৃষকরা। এক্সট্রা আয় করতে আমন ধান কাটার পর সেইম জমিতে আলু চাষ করে বাম্পার ফলন পেয়েছেন জয়পুরহাটের পাঁচবিবির কৃষকরা। এতে চাষের খরচা পুষিয়ে নেয়ার একসাথে সেইম জমিতে তিন ফসল উৎপাদন করছেন কৃষকরা।
পাঁচবিবির প্রধান অর্থকরি ফসল হলো ধান। ইদানিং চাষিরা ধান চাষের একসাথে সবজির আবাদও করছেন। চলতি মৌসুমে কৃষকরা আমন ধান কাটার পর অতিরিক্ত লাভের আশায় আলু চাষ করেছেন। এলাকার বিভিন্ন পাইকাররা ভূমি হতে আলু কিনে নিয়ে যাচ্ছেন। সম্প্রতি কৃষকরা জমি হতে আলু উত্তোলন করছেন।
কৃষকরা আমন ধান কক্ষে তোলার পর সেই জমিতে পাকরি, রোমানা, কার্ডিনাল (লাল), গ্রানোলা, বিনেলা, ক্যারেজ এবং ডায়ামন্ড জাতের আলুর চাষ করেছেন। কতিপয় দফা বৃষ্টিতেও আলুর লস হয়নি। কৃষকরা কৃষিখেত থেকে পরিপক্ক আলু উঠিয়ে বিক্রি আরম্ভ করেছেন। ফলে এই বছর পাঁচবিবিতে আলুর বাম্পার ফলন হয়েছে।
খোর্দ্দা গ্রামের চাষি হাজেরা পত্নী এবং প্রদীপ চাঁদ বলেন, আমরা ধান কাটার পর জমি খালি ফেলে না রেখে আলু চাষ করেছি। আলুর বীজ রোপনের ৬৫ দিনের মধ্যে পরিপক্ক হয়েছে। আলু চাষে আমার ব্যয় হয়ে গিয়েছে ৩০ হাজার টাকা। এ ঈষৎ সময়েই আমার ৪৫ হাজার টাকা হয়েছে। ইদানিং পাইকাররা আমরা ১ একর জমি ৭৫ হাজার টাকা ক্রয় করে নিয়েছে।
কৃষক হবিবর বলেন, আমি ১৫ কাঠা জমিতে আলুর চাষ করেছি। বিঘাপ্রতি ৪৫-৫০ মণ আলুর ফলন পাওয়া যায়। এতে বিঘাপ্রতি আলু চাষে ১০-১২ হাজার টাকা খরচা হয়। আলু চাষ করে লাভবান হয়েছি। প্রতিমণ আলু ৭০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা লুৎফর রহমান বলেন, রানিং বছর উপজেলায় ৫ হাজার ১০০ হেক্টর জমিতে আগাম গোত্রের আলু চাষ হয়েছে। লাভের আশায় কৃষকরা আগাম বংশের আলু চাষে নেমে পড়েছেন। আশা করছি কৃষকরা লাভবান হবেন। আলুর বেশ ভালো ফলন হয়েছে।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন