মহানবী (সা.) এর বর্ণনায় খেজুর খাওয়ার বিস্মায়কর উপকারিতা

মহানবী হযরত মোহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের একের অধিক ব্যাখায় খেজুর খাওয়ার উপকারিতার কথা উঠে এসেছে। আয়েশা রাদিআল্লাহু আনহা থেকে কথিত রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, ‘মদিনার উচ্চভূমিতে উৎপন্ন আজওয়া খেজুরের মধ্যে রোগের নিরাময় রয়েছে। আর ১ম প্রভাতে তা খাদ্য করা বিষের প্রতিষেধক।’ (মুসলিম: ৫১৬৮; সিলসিলাতুস সহিহাহ: ৩৫৩৯)

মহানবী (সা.) এর বর্ণনায় খেজুর খাওয়ার বিস্মায়কর উপকারিতা

হজরত সাদ রাদিআল্লাহু আনহু বলেন, ‘আমি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে বলতে শুনেছি, ‘যে মানুষ ভোরে সাতটি আজওয়া খেজুর খাবে, সেদিন কোনো বিষ এবং যাদু-টোনা তার লস করতে পারবে না।’ (বুখারি: ৫৪৪৫; মুসলিম: ২০৪৭-১৫৫; আবু দাউদ: ৩৮৭৬)

অন্য হাদিসে সাদ রাদিআল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, একবার আমি অসুস্থ হলে রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আমাকে দেখতে আসেন। এই সময় উনি তার হাত আমার বুকের ওপর রাখেন। আমি তার শীতলতা আমার অন্তরে অনুভব করি। অতঃপর তিনি বলেন, তুমি হৃদরোগে আক্রান্ত। কাজেই তুমি সাকিফ বংশের অধিবাসী হারিসা ইবনে কালদার নিকট যাও। কেননা সে একজন দূরদর্শী চিকিৎসক। আর সে যেন মদিনার আজওয়া খেজুরের সাতটা খেজুর নিয়ে বিচিসহ চূর্ণ করে তোমার জন্য তা কর্তৃক সাতটি বড়ি প্রস্তুত করে দেয়। (আবু দাউদ: ৩৮৩৫) 

আলি রাদিআল্লাহু আনহু বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি সাতটি আজওয়া খেজুর প্রতিদিন অন্ন করে, তার পাকস্থলীর প্রতিটি রোগ উৎখাত হয়ে যায়।’ (কানজুল উম্মাল: ২৮৪৭২)

আনাস বিন মালেক রাদিআল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, উনি বলেন, ‘নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম  নামাজের প্রথমে কয়েকটি কাঁচা খেজুর খেয়ে ইফতার করতেন। যদি কাঁচা খেজুর না থাকত, তাহলে শুকনো খেজুর দিয়ে। যদি শুকনো খেজুরও না থাকত তাহলে কতিপয় ঢোক জল দিয়ে।’ (তিরমিজি; রোজা অধ্যায়: ৬৩২)

সালমান ইবনে আমির রাদিআল্লাহু আনহু উক্ত হাদিসে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন ‘তোমাদের কেউ রোজা রাখলে খেজুর কর্তৃক যেন ইফতার করে, খেজুর না হলে পানি দিয়ে; নিশ্চয় জল পবিত্র‘। (আহমদ, তিরমিজি, আবু দাউদ, ইবনে মাজাহ এবং দারেমি; আলফিয়্যাতুল হাদিস: ৫৬২, পৃষ্ঠা: ১৩১-১৩২)

আবু হুরায়রা রাদিআল্লাহু আনহু বর্ণিত হাদিসে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম  ইরশাদ করেছেন, ঈমানদার ব্যক্তির জন্য খেজুর কর্তৃক সেহরি  কতোই না উত্তম! (আবু দাউদ: ২৩৪৫)

আবু হুরায়রা রাদিআল্লাহু আনহু কথিত হাদিসে রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম  বলেন, ‘আজওয়া জান্নাতের, এতে বিষক্রিয়ার ওষুধ রয়েছে।(তিরমিজি, হাদিস : ২০৬৬)

Post a Comment

أحدث أقدم