চার বছর ধরে চলছিল তাদের প্রেমের সম্পর্ক। তবুও তরুণীর পরিবার কিছুতেই তার পছন্দের ছেলের সাথে বিয়ে দেওয়ার জন্য রাজি নয়। রিলেশন ভাঙতে মেয়েকে সৌদি আরবে নিয়ে যান বাবা। সেখানে তরুণীর অমতে এক প্রবাসীর সাথে বিয়েও দেওয়া হয়। তবুও মেয়েটি সংসার করতে পারেননি। ডিভোর্স হয়ে যায় তাদের। তারপর দেশে এসেছেন মেয়েটি। গতকাল সোমবার সন্ধ্যার দিকে পুরনো প্রেমিকের সাথেই ছেড়েছেন ঘর। আর রাতেই রাজশাহী শহরের একটি কাজি অফিসে বিয়ে করেন তারা।
আজ মঙ্গলবার সকালে বরকে নিয়ে বার্তা সম্মেলন করে এসব কথা জানান ফাতেমা তাবাসসুম খান (২১)। ফাতেমার বাসা রাজশাহী নগরীর রামচন্দ্রপুর বৌবাজার এলাকায়। তার স্বামীর নাম ফজলে রাব্বী (২৬)। তার বাসা রামচন্দ্রপুর বৌবাজার এলাকায়। রাব্বী ব্যবসা করেন। আজ ভোরে নগরীর আসাম কলোনি এলাকায় বার্তা সম্মেলন ডাকেন এই দম্পতি।
সংবাদ সম্মেলনে ফাতেমা বলেন, ‘স্বেচ্ছায় থাকার জায়গা থেকে বেরিয়ে এসে পছন্দের মানুষকে বিয়ে করেছি। কেউ জোর করে আমাকে বাসা হতে আনেনি। ইদানিং শুনছি আমার পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় অপহরণের মামলা করা হচ্ছে। আমি জানিয়ে দিচ্ছি, আমাকে কেউ অপহরণ করেনি।’
তার জামাই ফজলে রাব্বী বলেন, ‘ফাতেমাকে বাড়িতে আটকে রেখে জুলুম করা হত। তাই আমার কয়েকজন বন্ধু সোমবার সন্ধ্যায় ফাতেমাকে বাড়ি থেকে আনে। তারপর রাতেই বিয়ে করেছি।’
রাব্বী বলেন, ‘এখন ফাতেমার পরিজন হতে হয়তো-বা অপহরণের মামলা করা হবে। পুলিশ আমাকে গ্রেপ্তার করবে। খাটতে হবে। এর সবই জানি। সবকিছুর জন্য মানসিক পরিকল্পনা রাখছি। বিশ্বাস রাখছি ফাতেমার ওপর। মামলা হলে ফাতেমা উকিল গিয়ে বলবে যে কেউ তাকে অপহরণ করে আনেনি।’
নগরীর বোয়ালিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত অফিসার (ওসি) মাজহারুল ইসলাম বলেন, রাতেই ফাতেমার পরিজন বিষয়টি পুলিশকে জানিয়েছে। তারা অপহরণের অভিযোগ আনছেন। মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। মামলা দেওয়ার জন্য এলে নিতে হবে।
তিনি বলেন, ‘একজন প্রাপ্তবয়স্ক ভদ্র মহিলা নিজের ইচ্ছায় যে কোনো ডিসিশন নিতে পারেন। সবকিছু আইনিভাবেই লক্ষ্য হবে।’
إرسال تعليق