নওগাঁর আত্রাই থানার চকশিমলা উচ্চ স্কুলের সহকারী টিচার (ইংরেজি) মোঃ মোজাহারুল ইসলাম জাল গুরু রেজিস্টার সনদ দ্বারা চাকরি নিয়েছিলেন। সেই টিচার রেজিস্টার সনদ যাচাই অন্তে জাল বলা হয়ে থাকে প্রতিষ্ঠান প্রধানকে পত্র প্রেরণ করেছিলেন এনটিআরসিএ এর অ্যাসিসটেন্ট পরিচালক তাজুল ইসলাম। তার প্রেক্ষিতে থানায় মামলা দায়ের করেন বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান টিচার প্রান বল্লভ মন্ডল।
এজাহার সূত্রে জানা যায়, রাজশাহী জেলার বাগমারা উপজেলার সোনাডাঙ্গা গ্রামের মোঃ তাহের উদ্দিনের ছেলে মোঃ মোজাহারুল ইসলাম (৪৪) আত্রাই উপজেলার চক শিমলা শীর্ষ বিদ্যালয়ে বিগত ৩০ জুন ২০১০ তারিখে যোগদান করে ১সেপ্টেম্বর ২০১০তারিখে এমপিওভুক্ত হন। তার ইনডেক্স নাম্বার জ-১০৪৯৯২১। ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২২ তারিখে অত্র ইন্সটিটিউটের সেরা মাষ্টার বরাবর বেসরকারি টিচার রেজিস্ট্রেশন এবং প্রত্যয়ন পরিচালকবৃন্দ (এনটিআরসিএ) এর ৯৪৭ নং স্মারকে মোঃ মোজাহারুল ইসলামের টিচার নিবন্ধন সনদের ফটোকপিসহ অন্যান্য কাগজপত্রের ফটোকপি অতুলনীয় মাষ্টার দ্বারা সত্যায়ন পূর্বক প্রেরণের আদেশ প্রদান করে। সে মতে গত ১০নভেম্বর ২০২২তারিখে তার কাগজপত্র অনলাইনের বেসরকারি শিক্ষক রেজিস্টার এবং প্রত্যয়ন পরিচালকবৃন্দ (এনটিআরসিএ) দপ্তরে প্রেরণ করেন সর্বশ্রেষ্ঠ শিক্ষক। যা যাচাই অন্তে তার মাষ্টার রেজিস্টার সনদ জাল ও ভুয়া বলা হয়ে থাকে প্রমান পাওয়ায় ১১২৩ নং স্মারকে প্রেরিত পল্লব দ্বারা ১৬ নভেম্বর ২০২২খ্রি তারিখে তার বিপক্ষে আইনগত অ্যারেঞ্জমেন্ট গ্রহণের জন্য নির্দেশ প্রদান করেন।
সেই আদেশ মতে স্কুলের ম্যানেজিং মন্ত্রণাসভা না থাকায় ১ডিসেম্বর ২০২২তারিখে স্টাফ কমিটির মিটিংএ অত্র স্কুলে কর্মরত ওস্তাদ এবং কর্মচারীবৃন্দ মিলে জাল টিচার রেজিস্ট্রেশন সনদ দিয়ে অত্র প্রতিষ্ঠানে নিযয়োগ নিয়ে যোগদানের পর হতে এই প্রতিষ্ঠানে অবৈধ ভাবে চাকুরি করায় মোঃ মোজাহারুল ইসলামের বিপক্ষে মামলা দেওয়ার ডিসিশন ধারণ করা হয়।
এবিষয়ে জানতে বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত উৎকৃষ্ট মাষ্টার প্রান বল্লভ মন্ডলের মুঠোফোনে একের অধিক বার কল দিলে তিনি রিসিভ না করায় তার কোন বক্তব্য নেওয়া পসিবল হয়নি।
আত্রাই থানার কর্মকর্তা ইনচার্জ তারেকুর রহমান বলেন, চক শিমলা শ্রেষ্ঠ বিদ্যালয়ের উৎকৃষ্ট শিক্ষক প্রান বল্লভ মন্ডল বাদী হয়ে বিগত ১৭ ডিসেম্বর থানায় মামলা দায়ের করেছেন। এব্যাপারে আইনানুগ অ্যারেঞ্জমেন্ট ধারণ করা হবে বলেও জানিয়ে দেন তিনি।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন