বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য গযেশ্বর রায় বলেছেন, স্বৈরাচারকে হার মানিয়েছে বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার। একারণে তাদেরকে স্বৈরাচার বলব, নাকি ফ্যাসিবাদী বলবো, নাকি কর্তৃত্ববাদী বলবো? কোন ভাষায় বললে তাদের সবাইকে জনগণের সামনে তুলে ধরা যায়, বাংলা অভিধানে বা ইংরেজি ডিকশনারিতে কোনো ভাষা খুঁজে পাচ্ছি না। তাই বলতে হয়, হঠাও লুটেরা, বাঁচাও দেশ। জনগণের বাংলাদেশ।
শুক্রবার সন্ধ্যায় জাতীয় প্রেসক্লাবে এক আলোচনা সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
রিজভী আহমেদ এবং সাম্প্রতিক রাজনৈতিক পেক্ষাপট শীর্ষক আলোচনা সভার অ্যারেঞ্জমেন্ট করে রাজশাহী ইউনিভার্সিটি ন্যাশনালিস্ট এক্স স্টুডেন্ট এ্যাসোসিয়েশন (রুনেসা)।
সংগঠনের সভাপতি অধ্যক্ষ বাহাউদ্দীন বাহারের সভাপতিত্বে ও কমন এডিটর মল্লিক মো: মোকাম্মেল কবিরের সঞ্চালনায় আলোচনা অধিবেশনে উপস্থিত ছিলেন- সংগঠনের সিনিয়র সহ-সভাপতি নুরুজ্জামান তপন, সহ-সভাপতি মমিনুল হক পিন্টু, সংগঠনিক এডিটর মতিয়ার রহমান, যুগ্ম সম্পাদক মাহবুব আলম ফরহাদ, ইউসুফ আলী মোল্লা, রবিউল আলম মন্টু, মিনহাজ উদ্দিন মানিক, কার্যালয় সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম, এছাড়াও সংগঠনের হামিদুর রহমান বাবু, শরিফুল ইসলাম শাওন, মুস্তাফিজুর রহমান মনির, জাকির হোসেন বাবু, আশফাক রাষ্ট্রশাসক গোষ্ঠী মনু, কাওসার আলী ও মাসুদ করিম প্রমুখ।
গয়েশ্বর বলেন, ৭ ডিসেম্বর বিএনপি'র কাজের জায়গায় যে তাণ্ডব করেছে এটি ৭১ সালের পাক বাহিনীর বর্বরতা কেও হার মানায়। বিএনপির অফিসের মধ্যে যে সংখ্যা টিয়ারশেল নিক্ষেপ করা হয়েছে এতে নয়, গ্যাসেই মানুষের মরণ হওয়ার কথা।
গয়েশ্বর বলেন, সরকারকে ক্ষমতা রাখার জন্য যে সকল পদক্ষেপ নেয়া হয় তার পাল্টা উত্তর যেটা দেয়ার সেটাই দেব। যদি আমরা দেশটাকে মুক্ত করতে চাই, যদি আমরা গণতন্ত্রকে মুক্ত করতে চাই। আমাদের লড়াইটা হচ্ছে আগাগোড়া গণতন্ত্রের।
বিএনপি'র স্থায়ী কমিটির এ মেম্বার বলেন, গণতন্ত্রের লড়াইয়ে আজকে যারা ছেড়ে স্বীকার করছে, জেল জুলুমের শিকার হলো এগুলো পরিশোধ করার একটাই বিষয়। এই ফ্যাসিবাদের ধ্বংস ঘটানো অর্থাৎ গণতন্ত্রকে পূর্ণ প্রবর্তন করা। এইজন্য শেষে বলতে হয়, হঠাও লুটেরা, বাঁচাও দেশ। জনগণের বাংলাদেশ।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন