গাজীপুর মহানগরের ছয়দানা এলাকায় ওয়ার্রকার হতাহতের খবরে তিনটি বাসে আগুন দিয়েছে উত্তেজিত শ্রমিকরা। এ সময় ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করে কিছু বাসে ভাংচুর চালায় তারা। আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যা পৌনে ৭টার দিকে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের ছয়দানা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। রাত ৯টার দিকে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় এক পোশাকশ্রমিক জানান, রাস্তা পারাপারের সময় অনাবিল পরিবহনের ১টি যাত্রীবাহী বাস গার্মেন্টস্ কর্মচারীদের ধকল দিলে কয়েকজন হতাহতের খোজ-খবর ছড়িয়ে পড়ে। এ টাইম উত্তেজিত শ্রমিকরা মহাসড়ক অবরোধ করে অনাবিল পরিবহনের একাধিক বাসে অগ্নি দেয় এবং কয়েকটিতে ভাংচুর করে।
গাজীপুর মহানগর পুলিশের গাছা অঞ্চলের সহকারী কমিশনার মো. মাকসুদুর রহমান বলেন, ‘গাড়ির ধাক্কায় একজনের মৃত্যুর বার্তা শুনেছি। তবে নিউজের সত্যতা শিওর করতে পারিনি। এখন খুবই ঝামেলার ভিতরে আছি। পরে ডিটেইলস জানা যাবে।’
গাজীপুর মহানগর পুলিশের উপ-কমিশনার (ট্রাফিক) মো. আলমগীর হোসেন বলেন, বাসের ধাক্কায় এক শ্রমিক আঘাতগ্রস্থ হওয়ার খোজ-খবর পাওয়া গেছে। তাকে এলাকাবাসী স্থানীয় তায়রুন্নেসা মেমোরিয়াল মেডিকেল মহাবিদ্যালয় ক্লিনিকে পাঠিয়েছে। কিন্তু তার পরিচয় জানা যায়নি। বাসের ধাক্কায় ওই ওয়ার্রকার নিহতের গুজবে উত্তেজিত হয়ে ওঠে শ্রমিকরা। একপর্যায়ে শ্রমিকরা অনাবিল পরিবহনের বাসে আগুন দেয় এবং কয়েকটি যানবাহনে ভাংচুর করে মহাসড়কে অবস্থান নেয়।
তিনি এইরকম বলেন, শ্রমিকরা ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধের দুই ঘণ্টা পর রাত ৯টার দিকে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।
গাজীপুর ফায়ার সার্ভিসের অ্যাসিসটেন্ট উপ-পরিচালক আব্দুল্লাহ আল আরেফিন জানান, বাসে উত্তেজিত জনতার অগ্নি দেওয়ার খবরে ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিটের কর্মীরা ঘটনাস্থলে গিয়ে অগ্নি নেভানোর কাজ শুরু করে।
জয়দেবপুর ফায়ার স্টেশনের সিনিয়র স্টেশন কর্মকর্তা মো. তাশাররফ হোসেন জানান, উত্তেজিত জনতা তিনটি গাড়িতে অগ্নিসংযোগ করেছে। আগুন নেভাতে গিয়ে তাদের বাধার মুখে পড়তে হয়। তারা মাঝে-মধ্যেই ইটপাকেটেলে নিক্ষেপ করে। পরে পুলিশি নিরাপত্তা বেস্টনীর ভিতরে আগুন নেভানোর কাজ চলে।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন