বগুড়ার শেরপুরে বাস-নছিমনের মুখোমুখি সংঘর্ষ, নিহত ৩

 বগুড়ার শেরপুরে বাস ও দুইটা নছিমনের মুখোমুখি সংঘর্ষে নছিমনের চালকসহ তিনজন নিহত হয়েছেন। আজ সোমবার বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে উপজেলার ঘোগা বটতলা এলাকায় ঢাকা-বগুড়া মহাসড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে। দুর্ঘটনার পরই বাসটি চালক ও তাঁর অ্যাসিসটেন্ট মহাসড়কের ওপর ফেলে পালিয়ে যান।

নিহত ব্যক্তিরা হলেন আল আমিন (৩২), গোপাল রাষ্ট্রশাসক বিভাগ (৩০) এবং নাঈম ইসলাম (২৫)। আল আমিন দুর্ঘটনাকবলিত ধানবোঝাই একটি নছিমনের চালক ছিলেন। তাঁর থাকার জায়গা শেরপুর উপজেলার শেরুয়া গ্রামে। গোপাল এবং নাঈম আইডিয়াল ডিস্ট্রিবিউশন হাউসের ডেলিভারিম্যান ছিলেন। গোপালের বাসা শেরপুর পৌর শহরের কর্মকার পাড়ায়। নাঈমের বাড়ি বগুড়া শাজাহানপুর থানার আড়িয়াবাজার এলাকায়।

দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছেন অপর নছিমনটির চালক মো. নাজমুল (২৬)। ওনাকে শুরুতে শেরপুর থানা দেহ কমপ্লেক্স এবং পরে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ ক্লিনিকে নেওয়া হয়েছে। তাঁর বাড়ি থানার খন্দকার টোলায়।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আজ বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে ঢাকাগামী শ্যামলী পরিবহনের একটি বাস মহাসড়কে বিপরীতমুখী শেরপুরগামী দুইটি নছিমনকে সেইম স্থানে পরপর ধকল দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই দুজন (আল আমিন ও গোপাল) মারা যান। আঘাতগ্রস্থ দুজনকে (নাঈম এবং নাজমুল) শেরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এবং বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল মহাবিদ্যালয় হাসপাতালে নেওয়া হয়।


এর ভিতরে নাঈম সন্ধ্যা সাতটার দিকে বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন পরিস্থিতিতে মারা যান।

উপজেলা ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তা নাদির হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, দুর্ঘটনা পর ঘটনাস্থলে পৌঁছে হতাহত ব্যক্তিদের উদ্ধার করেছেন তাঁরা। নিহত ব্যক্তিদের লাশ শেরপুর হাইওয়ে পুলিশের নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে।


শেরপুর হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক জয়নাল আবেদীন বলেন, দুর্ঘটনার পর ফেলে যাওয়া শ্যামলী বাসটি পুলিশের হেফাজতে রয়েছে। বাসটির চালককে আটক করতে তৎপরতা চলছে। পরের আইনি অ্যারেঞ্জমেন্ট প্রক্রিয়াধীন।


শেরপুরে প্রাণ কোম্পানির বিক্রয় কনক মণ্ডল ১ম আলোকে বলেন, শেরপুরের আইডিয়াল ডিস্ট্রিবিউশন হাউসের দ্বারা প্রাণ কোম্পানির নানারকম রকমের খাদ্যপণ্য বিক্রি করা হয়ে থাকে। নাঈম ইসলাম ও গোপাল আইডিয়াল ডিস্ট্রিবিউশন হাউসের ডেলিভারিম্যান ছিলেন।


Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন