কপি চাষে ভালো ফলনের স্বপ্ন বুনছেন কৃষকরা

 বগুড়ার শেরপুরের কৃষকরা ফুলকপি ও বাঁধাকপির ফলন সুন্দর হওয়ায় স্বপ্ন বুনছেন। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় শীতকালীন ফুলকপি ও বাঁধাকপির বাম্পার ফলনের আশা করছেন কৃষকরা। ঈষৎ খরচে বেশি লাভ হওয়ায় ফুলকপি এবং বাঁধাকপি চাষে ঝুঁকছেন চাষিরা।

জানা যায়, চারা রোপনের প্রায় ৭০-৭৫ দিনেই ফুলকপি আর বাঁধাকপি বাজারজাত করা যায়। প্রতিবছরের মতো এবছর শীতকালীন ফুলকপি ও বাঁধাকপির প্রীতি বেড়েছে সবজি বাজারে। বাজারে ব্যাপক চাহিদা থাকায় বিক্রি করতেও ঝামেলা নাই চাষিদের। পাইকাররা কৃষিখেত থেকেই এসব সবজি ক্রয় করে নিয়ে বাজারে বিক্রি করছেন। এই সবজি নগণ্য টাইমে স্বল্প খরচেই করা সম্ভব। মার্কেটে অনেক ভালো দরে বিক্রি করে সুখী শেরপুর উপজেলার কুসুম ও বাঁধাকপির চাষিরা।

শেরপুর উপজেলার গাড়ীদহ ইউনিয়নের বাংড়া গ্রামের রেজাউল করিম বলেন, আমি ১ বিঘা জমিতে ১১ হাজার টাকা ব্যয় করে আগাম জাতের ফুলকপি চাষ করেছিলাম। প্রায় ৫২ হাজার টাকায় ফুলকপি বিক্রি করি। আজকাল আবার সেই জমি মিলিয়ে মোট সোয়া দুই বিঘা জমিতে নতুন করে ফুলকপির চাষ করেছি। সামান্য কয়েকদিনে মধ্যেই বাজারজাত করতে পারবো। আশা করছি ১ লাখ টাকার বহু লাভ হবে।

খামারকান্দ্রি ইউনিয়নের ফুলবাড়ী গ্রামের কৃষিজীবী হারেজ বলেন, আমি ১ বিঘা জমিতে ৪ হাজার ফুলকপির চারা রোপন করেছি। ফুলকপির বাম্পার ফলন হয়েছে। প্রত্যেকটি ফুলকপি ৩০০-৫০০ গ্রাম ওজনের হয়েছে। কয়েকদিন আগে ৬০-৭০ টাকা কেজিতে বিক্রি করতে পারলেও ইদানিং মূল্য কমেছে। বর্তমানে কৃষিখেত হতে ২০-৩০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করতে পারছি।

কৃষি বিভাগের সূত্র মতে, চলমান বছর শেরপুর উপজেলায় ফুলকপি ১৪০ হেক্টর এবং বাঁধাকপি ৫০ হেক্টর জমিতে আবাদ হয়েছে। কৃষি বিভাগ হতে কৃষকদের সার্বিকভাবে সহযোগীতা করা হচ্ছে।

শেরপুর থানার কৃষি প্রসারণ অধিদপ্তরের কৃষি কর্মকর্তা ফারজানা আক্তার বলেন, প্রতিবছরের ন্যায় এবছর জেলায় আগাম ফুলকপি ও বাঁধাকপির আবাদ করা হয়েছে। আবহাওয়া সুন্দর থাকায় বাম্পার ফলন হয়েছে। বাজারদর অনেক ভালো থাকায় সবজি চাষে লাভবান হচ্ছেন চাষিরা।

Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন